যশোরের ঐতিহ্যের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত খেজুরের গুড়। যার স্বাদ ও গন্ধ অতুলনীয়। এ গুড় প্রাচীন কাল হতে আজ অবর্ধি দেশে বিদেশে সমানভাবে সমাদৃত। বর্তমানে যশোরে উৎপাদিত গুড়ের পরিমান প্রায় ৩৭,০০,২০০ কেজি। শীত এলেই পড়ে যায় খেজুর গুড় ও রস দিয়ে পিঠা তৈরীর ধুম। এসময় ঘরে তৈরী হয় কাঁচি পোড়া(চিতুই), কুলি, ভাপা, পাকান,ছিটে রুটি, পাটিসাপটা ও সেমাই পিঠা। ভোজন বিলাসী মানুষ একবার এ পিঠা ও গুড়ের স্বাদ গ্রহন করলে বারবার এর স্বাদ গ্রহনের জন্য আকুল হয়ে উঠবেন।
ষড় ঋতুর দেশ বাংলাদেশে শীতের আমেজ সব সময় একটু বেশিই উপভোগ্য । শীত মানেই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে নতুল চাল আর খেজুরের গুড়ে পিঠা পায়েসের আয়োজন।খেজুরের গুড় কম বেশি বাংলাদেশর প্রায় সব অঞ্চলে পাওয়া যায়। তবে জেলাভেদে খেজুরের গুড় বানানোর প্রসেস ভিন্নরকম হওয়াতে গুড়ের স্বাদ ও মানে রয়েছে তারতম্য। যশোরের খেজুরের পাটালি গুড়ের স্বাদ পুরো বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার পাটালি গুড়ের চাইতে আলাদা। এ গুড় মুখে দিলে আপনি পাবেন পুরো চকলেটের স্বাদ। এছাড়া যশোরের পাটালি এতোটা সফট হয় যে মুখে দিলেই গলে যায়। তবে, যশোরের পাটালি গুড়ের একটা সমস্যাও রয়েছে , এ গুড় হালকা একটু গরম পেলেই গলে যায় এবং খুব সহজে ভেংগে যায়। যে কারণে ছবিতে যেমন পুরো একটা আসত পাটালি দেখতে পাচ্ছেন কিন্তু বাস্তবে এটা ক্যারি করতে গেলে ভেংজ্ঞে যায়, তাই অনেক সময় আপনার মনে হতে পারে আপনাকে অন্য গুড় দেয়া হয়েছে। কিন্তু যারা নিয়মিত যশোরের গুড় খান তারা এটা মুখে নিলে খুব সহজেই ধরে ফেলবে এটা কি আসল না নকল
Reviews
There are no reviews yet.